গল্পঃ- একটু বেশিই অভিমানী 💖
পার্ট -০৫
#অদ্রিতআল মাসুদ
একটু বেশিই অভিমানী সকল পর্ব
—বাবা,অনেক কান্না করেছ।এখন একটু থাম।এমনিতেই তোমার শরীর ভালো না।(কাকি)
—দেখনা কাকি ওরা আমার না হওয়া সন্তানটাকে মারতে চলে গেল।আমি সবার পায়ে ধরে বললাম তারপরও ওরা আমার কথা শুনল না।তুমিই বল আমি কি এমন ভুল করেছিলাম যার জন্য ওরা সবাই মিলে আমাকে এতবড় শাস্তি দিলো?(আমি)
—বাবা,আমিও জানি না কেন সবাই মিলে এমন করছে।কিন্তুু একটা কথা জানি।
—কি?
—তুমি সেইদিন অফিস থেকে আসার আগে দুপুরের দিকে তোমার মা,ভাবী আর মিশু ডাক্তারের কাছে গিয়েছিল।
—কেন?
—বাচ্চা কেমন আছে জানতে।কিন্তুু সেখান থেকে আসার পর থেকেই তাদের তোমার উপর রাগ করতে থাকে আর তুমি হাসপাতালে যাওয়ার পর মিশু তোমার পরিবারের সবাইকে বুঝিয়ে রাজি করে যাতে বাচ্চা ফেলে দেওয়া যায়।
—মিশু আমার বাচ্চাকে মেরে ফেলেছে।আমি মিশুকে জীবনেও ক্ষমা করব না।
—বাবা,এখন কান্না থামাও।
.
তারপরও আমি সেখানে বসেই কান্না করতে লাগলাম।দুই-তিন ঘন্টা পর বাড়ির সবাই ফিরে আসল সাথে মিশুও।মিশু বাড়িতে আসার পরই এক প্রকার দৌড়ে ঘরে চলে গেল।
.
—আমার বাচ্চাটাকে তোমরা সবাই এখন খুশি হয়েছ?আমার বাচ্চাটা তোমাদের কি এমন ক্ষতি করেছিল যার জন্য ওকে মেরে ফেললে?(আমি কান্না করে)
—স্যার,সাগর বাবার উপর কি আপনাদের একটু দয়া হয় না?সাগর বাবা তখন কত করে বলল মিশু অ্যাবরশন না করাতে।আপনারা ত অ্যাবরশনটা নাও করাতে পারতেন।(কাকি)
—আমার সন্তানকে মেরে তোমরা কি পেলে একটু বলবে?
—তোর বাচ্চাকে আমরা মারি নাই।(মা)
—মানে?
—মানে অ্যাবরশন করতে ঠিকই নিয়েছিলাম।কিন্তুু ডাক্তারের মিশুর পেট দেখে বলল বাচ্চার নাকি ছয়মাসের বেশি হয়ে গেছে।তাই আর অ্যাবরশন করে নি।
—তার মানে আমার সন্তান এখনও বেঁচে আছে?
—হ্যাঁ।
.
কথাটা বলা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই মিশুর ঘরে থেকে কিছু পরার শব্দ আসল।আমরা সবাই তাড়াতাড়ি মিশুর ঘরের দিকে গেলাম।
.
সেখানে গিয়ে দেখি মিশুর ঘরের দরজা ভিতরের থেকে আটকানো।সবাই মিশুকে ডাকতে লাগল কিন্তুু মিশু কোনো শব্দ করচ্ছে না।
.
—ওগো মেয়েটা কোন কথা বলচ্ছে না কেন?(মা)
—জানি না।(বাবা)
—মিশু,বাচ্চাটাকে পৃথিবীতে আসতে দিবে না দেখে নিজের কোন ক্ষতি করে বসে নি ত?(ভাবী)
—করতেও পারে।(ভাইয়া)
—তাহলে তোরা দাঁড়িয়ে কি দেখছিস তাড়াতাড়ি দরজাটা ভেঙ্গে ফেল।
—তোমরা তাহলে পিছে সরে দাঁড়াও। (ভাইয়া আমি একসাথে)
.
তারপর মা আর ভাবী পিছে সরে দাঁড়ালো।আমি আর ভাইয়া দরজাটা ভেঙ্গে দিল।দরজা ভাঙ্গার পর যা দেখলাম তা নিজের চোখে বিশ্বাস করতে পারছি না।
.
দেখলাম মিশু ঘরের ফ্যানের সাথে ঝুলে পা জোড়ে জোড়ে নাড়ছে আর নিচে একটা চেয়ার পরে আছে।বাবা আর ভাই তাড়াতাড়ি গিয়ে মিশুকে ধরল।ফাঁসি দিয়েছিল কিন্তুু বেশি সময় হয়নি দেখে বেঁচে গিয়েছে।
.
—মিশু,তুমি এইটা কি করতে গিয়েছিলে?(মা)
—মা,আমি বাঁচাতে চাই না।(মিশু)
—কেন?(বাবা)
—আমি এই চরিএহীন ব্যাক্তির রক্ত শরীরে নিয়ে বাঁচতে চাইনা।আমার নিজের প্রতি ঘৃণা হচ্ছে।
আমার পুড়ো পৃথিবী যেনো নড়ে ওঠল।
—তাই বলে নিজেকে এইভাবে শেষ করে দিবে?(ভাবী)
—তাছাড়া ত আমার কাছে আর কোন উপায় নেই।
—কি করব বল?আমরা ত তোমার কথা শুনে তোমাকে অ্যাবরশন করতে গিয়ে গিয়েছিলাম।কিন্তুু বাচ্চাটা এতই বড় হয়ে গিয়েছে যে এখন আর অ্যাবরশন করানো যাবে না।
—তাহলে বাবা আমি এখন কি করব?আমি এই বাচ্চাকে নিজের পেটে রেখে বাঁচতে চাই না।(কান্না করে)
—মিশু তুমি আমাকে যা বলবে আমি তাই করব।কিন্তুু দয়া করে আমার বাচ্চাটাকে এইভাবে মেরে ফেল না।(আমি হাত জোড় করে)
—তাই তুই বল আমি কি করব?
—আমার কাছে কোন উপায় জানা নেই।
—তোর জন্য আজকে আমার মিশু মা ফাঁসি দিতে গিয়েছিল।আমার ত ইচ্ছে করচ্ছে তোকে এখনই মেরে ফেলি।নাহলে ওকে বাড়ি থেকে ঘার ঠাক্কা দিয়ে বের করে দেই।
—কি খেয়ে যে তোকে আমি জন্ম দিয়েছিলাম।যার জন্য তোর মতো একটা খারাপ ছেলে আমার পেটে হলো। (মা রেগে গিয়ে)
–মা (করুণ কণ্ঠে)
—তুই ফাজিল জানতাম সেইটা জানতাম।কিন্তুু এতবড় খারাপ সেইটা জানতাম না।
—তোমরা সবাই আমাকে যা খুশি বল আমি কিছু মনে করব না।কিন্তুু দয়া করে আমার সন্তানকে মেরে ফেল না।আমার সন্তানকে এই পৃথিবীর আলো দেখতে দাও।
—ওকে আমি জন্ম দিয়ে কি করব?ঐ ও ত বড় হলে তোর মতো চরিএহীন হবে।এর চেয়ে ভাল আমি ওকে আমার পেটেই মেরে ফেলি।
—আগে যদি জানতাম তুই বড় হয়ে এমন খারাপ হবে তাহলে মিশুর মতো আমিও তোকে আমার পেটেই মেরে ফেলতাম।
—তাহলে তখন কেন মারনি?শুধু শুধু আমার সন্তানকে মারতে চাচ্ছ কেন? কেন?
—আমি চাই না তোর মতো শয়তান পৃথিবীতে আর একটা শয়তান জন্ম নেক।তাই ওকে আমি আমার পেটেই মেরে ফেলব।
—মিশু,দয়া করে তুমি আমার সন্তানকে এইভাবে মেরে ফেল না।তুুমি যা বলবে আমি তাই করব।
—যদি তুই আমার দুইটা কথা মানিস তাহলে আমি তোর সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখতে দিব।
—কি কি?আমি তোমার সব কথা রাখব।
—প্রথম বাচ্চা যেদিন হবে সেইদিনই তুই আমাকে ডির্ভাস দিবি আর তুই কখন আমার সামনে আসবি না।যদি তোকে আমি কখনও আমার সামনে দেখি তাহলে সেই সময়ই আমি তোর সন্তানকে মেরে ফেলব।
—আমি রাজি।আমি কখনও তোমার সামনে আসব না আর তোমাকে ডির্ভাসও দিয়ে দিবো।তুমি শুধু আমার সন্তানকে আমার কাছে এনে দাও। (মুহূর্তের মধ্যেই রাজি হয়ে গেলাম। কেনো জানিনা তবে আমার শুধু একটা জিনিসই খেয়াল তা হলো আমার সন্তানকে বাঁচানো, তাকে পৃথিবীর আলো দেখতে দেয়া। শুধুমাত্র আমার সন্তানের জন্য মিশুর এমন ঘৃণ্য চক্রান্তে রাজি হয়ে গেলাম।)
—আচ্ছা দিব।কথা দুইটা মনে রাখিস নাহলে আমি তোর সন্তানকে মেরে ফেলব।
—ও কি শুধু আমারই সন্তান?ও তোমার কিছু হয় না? (কান্না কণ্ঠে)
—না হয় না।তোর মতো চরিএহীনের রক্ত বয়ছে ওর শরীরে।তাই ও শুধু তোরই সন্তান।
—আচ্ছা।
—এখন আমার সামনে থেকে দূর হ।
—আচ্ছা যাচ্ছি।
.
সেইদিনের পরে থেকে মিশুর ঘুম থেকে উঠার আগেই বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতাম আর বাড়িতেও যেতাম মিশু ঘুমিয়ে পড়ার পর।
.
মাঝে মাঝে মিশু ঘুম আসার পর আমার বাচ্চাকে দেখতে যেতাম।এরপরে থেকে মিশুর যখন যা লাগত বাবাই সব এনে দিত।
.
সেইদিনের পর থেকে আমার সাথে আমার পরিবারের আর কেউই কথা বলে নি।প্রতিরাতে শুয়ে শুয়ে কান্না করতাম আর ভাবতাম কি এমন অপরাধ করেছিলাম যার জন্য এতবড় শাস্তি পেলাম।।
.
এইসব ভাবতে ভাবতে প্রতিদিন আমি ঘুমিয়ে পরি।গত চার মাসে আমার মা-বাবা,ভাইয়া-ভাবী,মিশু কখনই আমার সাথে কথা বলে নি।
.
কখনও জিজ্ঞাসও করে নি আমি কিছু খেয়েছি নাকি না।আস্তে আস্তে তাদের রাগ যখন কমে গিয়েছিল তখন আমার সাথে তারা কথা বলতে আসত।
.
কিন্তুু আমি তাদের সাথে আর কথা বলি নি।মিশু প্রথম প্রথম বাচ্চার উপর রাগ করে থাকলেও আস্তে আস্তে সেই রাগ কমে যায় আর বাচ্চাটাকে ভাল মতো খেয়াল রাখতে শুরু করে।
.
পরে বাচ্চাটা জন্ম হলে আমি ওকে আমার সাথে নিয়ে আসি আর ডির্ভাস পেপার সাইন করে বাড়িতে রেখে আসি।এই ছিল আমার জীবন বদলে দেওয়ার গল্প।
সম্পূর্ণ বলার পর দেখলাম মেয়েটির চোখের কোণে জল।
.
—কি হলো?আপনি কান্না করছেন কেন?(আমি)
—এত কিছু হয়েছে আপনার সাথে?(মেয়েটি)
—হ্যাঁ।(তখনই আমার মেয়েটা আবার কান্না করতে শুরু করল)
—ওকে আমার কাছে দেন।আমি ওকে ঘুম পারিয়ে দেই।(আমি আমার মেয়েকে মেয়েটির কোলে দিলাম)
—এখন আপনি বলেন আপনি আত্মাহত্যা করতে গিয়েছিলেন কেন?
—আমার জীবনের গল্প আপনার মতো না।মনে অনেক দুঃখ তাই আত্মাহত্যা করতে এসেছি।
—আপনার এত কিসের দুঃখ?বয়ফ্রেন্ডের সাথে ঝগড়া হয়েছি নাকি?
—আমার কোন বয়ফেন্ড নেই।
—তাহলে?
.
আসলে আমি যখন ছোট ছিলাম তখনই মা-বাবাকে হারাই।মামা-মামির কাছে ছোট থেকে বড় হয়েছি।মামা-মামি ছাড়া আমার এই পৃথিবীতে আর কেউ নেই।
.
মামা আমাকে ছোট থেকেই অনেক ভালবাসত।কিন্তুু মামি আমাকে কেন জানি ছোট থেকেই দেখতে পারত না।সব সময় বকত আর আমাকে কথা শুনাত।
.
তাছাড়া আমাকে দিয়েই বাড়ির সব কাজ করাত।এর পাশাপাশি মামা আমাকে পড়াছিল।আমি পড়ালেখাই ভালই ছিলাম তাই সব সময় ভাল রেজাল্ট করতাম।
.
কিন্তুু যখন আমার ইন্টার পরীক্ষা শেষ হলো তখন হঠাৎ করেই মামা অনেক অসুস্থ হয়ে পরল।পরীক্ষা শেষ হওয়ার কিছুদিন পর মামা হঠাৎ করেই মারা যায়।
.
তার সাথে সাথে আমার পড়াও এখানেই শেষ হয়ে যায়।তখন থেকে মামির অত্যাচার আরও বেড়ে যায়।কিন্তুু আজকে মামি কোন কারণ ছাড়াই আমাকে অনেক বকেছে আর মেরেছে।
.
এক পর্যায়ে আমাকে তিনি বাড়ি থেকে বের করে দেয়।তাই আমি আমার সামনে আর কোন রাস্তা না পেয়ে এখানে মরতে চলে এসেছি।
.
কারণ আমি যদি এখন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াই তাহলে কার না কার জানি খারাপ নজর পরবে আর আমার ইজ্জত কেড়ে নিবে।আমি মরে যেতে রাজি কিন্তুু ইজ্জত হারাতে রাজি না।
.
—আপনার জীবনেও কষ্ট কম নেই।(আমি)
—আপনার থেকে বেশি না।(মেয়েটি)
—হয়তো।
—এখন তাহলে আমি যাই।
—কোথায়?
—আত্মাহত্যা করতে।১:১৫ বেজে গেছে।আর কিছু সময় পরেই ত ট্রেন চলে আসবে।
—আচ্ছা।
—এই যে আপনার মেয়েকে নেন।
—আচ্ছা দেন।
—আমি তাহলে গেলাম কিন্তুু।
—আচ্ছা যান।
.
আমি যখন আচ্ছা বললাম তখন খেয়াল করলাম মেয়েটির দুই চোখের কোণে জল।আস্তে আস্তে মেয়েটি চলে যাচ্ছে।ট্রেনও চলে এসেছে।
.
এইদিকে আবার আমার মেয়ে আমার কোলে আসার পর থেকে আবার কান্না শুরু করে দিয়েছি।এতসময় মেয়েটির কোলে ছিল তখন কান্না করছিল না।
.
আমার কোলে আসার পরেই কান্না শুরু করে দিয়েছে।মেয়েটি রেললাইনে যাচ্ছে ঠিকই কিন্তুু বার বার পিছনে ফিরে আমার আর আমার মেয়ের দিকে তাকাচ্ছে।আমি ট্রেনে উঠার জন্য রওনা দিলাম তখন হঠাৎ করেই মেয়েটি দৌড়ে আবার আমার কাছে আসল।
.
—কি হলো আবার আসলেন যে।কিছু কি ভুলে গিয়েছেন?(আমি)
—আমি এমন মানুষ কেন?(মেয়েটি)
—আমি আবার কি করলাম?
—দেখচ্ছেন একটা মেয়ে আত্মাহত্যা করতে যাচ্ছে তাকে কি আপনি আটকাবেন না?
—আমি আটকাব কেন?
—দূর,আপনাকে দিয়ে কিছু হবে না।মেয়েটিকে আমার কাছে দেন।আপনার কাছে থাকলে ত শুধু কান্নাই করে।(এক প্রকার জোর করেই আমার মেয়েকে তার কোলে নিয়ে গেল।মেয়েটির কোলে যেতেই আমার মেয়ে কান্না বন্ধ করে দিল)
—দেখছেন আপনার মেয়ে আর কান্না করছে না।
—ওর কান্না বন্ধ হল কি করে? (আশ্চর্য হয়ে)
—এইটা আপনি বুঝবেন না।হয়ত ও আমাকে ওর মা মনে করেছে।
—যে মা ওকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল তাকেই কিনা ও মনে করবে।
—আচ্ছা,আপনি ওকে একা একা রাখবেন। আই মিন বড় করবেন কি করে?
—সেইটা ত জানি না।
—একটা কথা বলি?কিছু মনে করিয়েন না।
—হ্যাঁ বলেন।
—আমাকে কি আপনি আপনার সাথে নিবেন।আমার কিছু চাইনা আমি শুধু আপনার এই নিস্পাপ মেয়েটির দেখা শোনা করতে চাই।আপনি যদি চান আমি আপনার বাড়ির কাজের মেয়ে হয়েই থাকব।কিন্তুু আমাকে দয়া করে আপনার সাথে নিয়ে চলেন।কিছু সময়ের মধ্যেই আপনার মেয়েটির উপর আমার অনেক মায়া জন্মে গিয়েছে।দয়া করে আমাকে রেখে যাবেন না।(কান্না করে)
—আরে আরে আপনি কান্না করছেন কেন?আপনি কান্না থামান।
—আগে বলুন আপনি আমাকে আপনার মেয়ের দেখাশোনা করার জন্য নিবেন।দরকার হলে আমাকে আপনার বাড়ির কাজের লোক করে রাখবেন তাহলেও হবে।
—আপনাকে আমাদের সাথে নিতে পারি এক শর্তে।
—কি শর্ত?
—আপনাকে আমার ছোট বোনের মতো আমার সাথে থাকতে হবে আর কখনও বলবেন না আপনি আমার বাড়ির কাজের লোক।সবসময় আমার ছোট বোন হয়েই আমার সাথে থাকবেন।
—আমি রাজি। (মেয়েটির চোখে পানি লক্ষ করলাম। হয়তো ভেবেছিলো তাঁকে আমি অবহেলা করবো, কিন্তু তাকে ছোট বোন বলাতে একটু বেশিই খুশি লাগছে মেয়েটির)
—তাহলে চলেন।
—ছোট বোনকে আপনি করে বলতে হয়না তুমি করে বলতে হয়।
—আচ্ছা,তুমি করেই বলব।তুমি আমাকে তুমি করেই বল।
—আচ্ছা।(তারপর আমরা ট্রেনে গিয়ে বসলাম)
—আমি তোমাকে একবার আমাদের সাথে যেতে বলতে চেয়েছিলাম।কিন্তুু তুমি কি ভাববে সেইটা ভেবে আর বলি নেই।(আমি)
—আমি যখন দেখলাম তুমি আর আমাকে ডাকছ না তখন নিজেই চলে আসলাম।(মেয়েটি)
—ভাল করেছ।দেখেছে তোমার সাথে এত কথা বললাম কিন্তুু এখনও তোমার নামটাই জানা হল না।
—আমার নাম শ্রেয়া।
—অনেক সুন্দর নাম।
—আচ্ছা,আমরা কোথায় যাচ্ছি?
—দেখি কোথায় যাওয়া যায়।
.
তারপর ট্রেন ট্রেনের মতো চলতে লাগল।শ্রেয়ার কোলে যাওয়ার কিছু সময় পরেই আমার মেয়ে ঘুমিয়ে পরেছে।আমরাও কিছুসময় কথা বলে ঘুমিয়ে পরলাম।(বেরিয়ে পড়লাম নতুন জীবনের সন্ধানে। হয়তো দেখা হবেনা প্রিয়জনদের সাথে তবুও যে অবহেলা লাঞ্ছনা পেয়েছি তাতে মনে হয়না আমি সহজে তাদের ক্ষমা করতে পারবো।)
.
#চলবে