–আবিরের বাচ্চা
পুলিশের মেয়ে যখন আদরের বউ
.
মাঝরাতে এমন একটা
ডাকে ঘুম ভেঙে যায়
আবিরের।সেই
ছোটবেলায় মায়ের
থেকে এমন ধমক শুনতে
হতো আবিরকে।
তারপরে আর কেউ
তাকে ধমক দেওয়া
দূরের কথা গলা
উঁচিয়েই কথা বলতে
পারেনি।কারন,আবির
এখন প্রতিষ্ঠিত।
কোনো এক স্বনামধন্য
মাল্টিন্যাশনাল
কোম্পানিতে উচ্চ পদে
চাকরী করে আবির।
মাঝরাতে এমন একটা
ডাকে তার শান্তির ঘুম
নষ্ট হওয়াতে
মেজাজটা বিগড়ে যায়।
তড়িঘড়ি করে দরজা
খুলে যাকে দেখতে পায়
তাকে দেখে তার
মেজাজ মাইনাস ৩০
ডিগ্রি ঠান্ডা হয়ে
যায়।বাইয়ে দাড়িয়ে
ছিল বিথী।বিথী
হচ্ছে তার সদ্য
বেকআপ প্রাপ্ত
একমাত্র
গার্লফ্রেন্ডের বড়
বোন।বাবা SI হওয়াতে
পুরো এলাকাতে রাজ
করে
বেড়ায় দুই বোন।কিন্তু
এত রাতে বিথী দিদি
এখানে কি করে আর
তাকেই বা কেন
ডাকছে?ধৈর্য ধরুন সব
জানতে পারবেন,
.
-দিদি তুমি এত রাতে
এখানে?(আবির)
-তাড়াতাড়ি আমার
সাথে চল।(বিথী)
-দেখো দিদি তুমি
পুলিশের মেয়ে হয়েছো
বলে এভাবে রাত-দুপুরে
আমার ঘুম নষ্ট করতে
পারো না!(আকুতির
সাথে)
-চুপাচাপ যাবি নাকি
পুলিশ ডেকে হাত-পা
বেঁধে নিয়ে যাব?
.
ব্যাপার সাংঘাতিক
তাই আর মজা করতে
পারলাম না।
সিরিয়াসলি
জিঞ্জাসা করলাম,
.
-কি হয়েছে আমাকে
বলবে?
-শালা তুই একটা
ফাজিল থুক্কু গ্রেট
ফাজিল।তোকে আমি
বলেছিলাম ৬ মাসের
মধ্যে একটা প্রেম করে
দেখাতে আর তুই এটা
কি করলি?
“ফ্লাসব্যাক,
প্যান্ট শার্ট পড়ে
জেন্টালম্যান ভাব
নিয়ে চাকরীর প্রথম
দিনে অফিসে
যাচ্ছিলো আবির।
এমন সময় এলাকার
প্রধানমন্ত্রীর ডাক
শুনতে পায় আবির,
.
-কিরে একদম ক্লিন
সেভ দিয়ে এই সাত
সকালে ব্রয়লারের
মতো সাজুগুজু করে
কোথায় চললি?(বিথী)
-দেখো দিদি আমি
কিন্তু মোটেও
ব্রয়লার না।আমার
কিন্তু জিম করা
সিক্স প্যাক বডি
আছে।তাছাড়াও মা
বলেছে আমি দেখতেও
অনেক কিউট!(আবির)
-হায়রে আমার
কিউটের বাক্স এত
সকালে কোন ফার্মে
ব্রয়লারের সাপ্লাই
দিতে যাচ্ছিস।
-ব্রয়লারের সাপ্লাই
দিতে না আমার একটা
মাল্টিন্যাশনাল
কোম্পানিতে চাকরী
হয়েছে।আজকে আমার
চাকরীর প্রথম দিন।
-তোর মাল্টিন্যাশনাল
কোম্পানিতেই চাকরী
হোক আর এয়ার
ফোর্সেই চাকরী হোক
জীবনে একটাও
গার্লফ্রেন্ড জুটবে না
তোর।
-তুমি এমন একটা কথা
বলতে পারলে?এই
এলাকাতে আমার থেকে
হ্যান্ডসাম ছেলে কি
আর একটাও আছে?
-তোর হ্যান্ডসাম
হয়েও কাজ নেই তোর
উপর আফ্রিকানরা
ছাড়া আর কেউ ক্রাশ
খাবে না।
-তুমি জানো কলেজে
কত মেয়ে আমার উপর
কাশ থেয়ে উপুর হয়ে
পড়ে!
-তাহলে প্রমান কর।
-কিভাবে?
-যদি তুই ৬মাসের
মধ্যে একটা
গার্লফ্রেন্ড যোগাড়
করে আমাকে দেখাতে
পারিস তবে আমি
তোকে হ্যান্ডসাম
মেনে নিব।না হলে
তোকে ব্রয়লার
ডাকবো।চ্যালেঞ্জ?
-ওকে চ্যালেঞ্জ।
.
সেদিন থেকেই আবির
টার্গেট করে বিথীর
ছোটবোন তিথিকে।
তিথি এবার অনার্স
২য় বর্ষের ছাত্রী।
অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে
তিথিকে ইমপ্রেস
করতে পেরেছিল
আবির।কিন্তু এটা
একটা চ্যালেঞ্জ
ছিল।আবির বুঝতে
পারে সে তিথিকে
ভালোবেসে ফেলেছে।
এজন্য আজকে তিথির
সাথে ব্রেকআপ করে
যার ফলশ্রুতিতে
আজকের এই
মধ্যরাতে আবিরের
ঘুম নষ্ট হলো।”
.
-তুমিই তো বলেছিলে
আমাকে দেখে নাকি
কেউ ক্রাশ খাবে না।
(আবির)
-এলাকাতে এত মেয়ে
থাকতে তুই আমার
বোনকেই কেন
ফাঁসালি?(বিথী)
-মোটেও ফাঁসায়নি।
তোমার চ্যালেঞ্জের
যথাযথ উদাহরন
দিয়েছি।
-খুব ভালো করেছিস
এখন চল।
-কোথায়?
-আমাদের বাসায়।
-আপনাদের বাসায় যাব
কেন?আপনাদের বাসার
সামনে সবসময় পুলিশ
থাকে আর পুলিশে
আমার এলার্জি আছে।
-তোর ব্রেক আপ
করাতে আমার বোনটা
সুইসাইড করতে
গিয়েছিল।
-সুইসাইড করা একটা
ভালো কাজ।তা এত
ভালো কাজ থেকে ওকে
আটকালে কেন?
তাছাড়াও এলাকা থেকে
একটা দজ্জালের পতন
হতো।
-কি বললি আমার বোন
দজ্জাল?
-কই নাতো।তোমরা দুই
বোনতো একেবারে
নীরিহ।তোমাদের
আবার দজ্জাল বলতে
যাবে কে?
-দজ্জাল হোক আর
যাই হোক তোর আর
তিথির বিয়ে হবে
এখন।
-বিয়ে মানে!
-বিয়ে মানে বুঝিস না।
কচি খোকা নাকি?
-না মানে আমার
এইভাবে এইসময়ে
বিয়ে হবে?ব্যাপারটা
কেমন হয়ে গেল না।
-তিথিকে আমি কথা
দিয়ে এসেছি আজকে
তোর সাথে ওর বিয়ে
দিয়েই ছাড়ব।ভালোই
ভালোই যাবি নাকি
ওদের ডাকতে হবে
(৩জন কনস্টেবলকে
দেখিয়ে)
-না আমি যাব না।
তোমার মতো মানুষদের
সাথে সম্পর্ক করা
ঠিক না।
-ঠিক কি বেঠিক সেটা
পড়ে বলব।আগে চল
আমার সাথে।
[ads2]
অতঃপর,৩জন
কনস্টেবল মিলে
আবিরকে ধরে নিয়ে
যায়।তিথিদের বাড়িটা
সাজানো হয়ে গেছে।
মনে হচ্ছে আগে
থেকেই ব্যবস্থা করে
রাখা হয়েছে।অতঃপর
পরিবার ব্যতীত
আবিরকে জোড় করে
বিয়ে দিয়ে দিল।
বর্তমানে আবির তার
বাসরঘরের সামনে
দাঁড়িয়ে আছে।রুমের
ভিতরে ঢুকতে ভয়
একটু করছে।না সে রুমে
ঢুকবে না।কেনো ঢুকবে
এই বিয়েটাতো তাকে
জোড় করিয়ে দেওয়ানো
হয়েছে।
.
-কিরে তুই বাইরে
দাড়িয়ে আছিস কেন?
ভিতরে যা।(বিথী)
-আমি যাব না।তোমরা
সবাই মিলে আমাকে
জোড় করে বিয়ে
দিয়েছো।আমার বাবা-
মা কি ভাববে?(আবির)
-নিচে তাকিয়ে দেখ তো
চিনতে পারিস কিনা
ওনাদের?
-বাবা-মা ওনারা কখন
এলেন?
-আরে বুদ্ধু তুই নাকি
বলেছিস যে জীবনেও
বিয়ে করবি না।
এজন্যই আমি এভাবে
এসব সাজিয়েছি।
-তার মানে আমার বাবা
মা সব জানে।
-হুম সবই জানে।এই
বিয়েটা তো তাদের
বুদ্ধিতেই হয়েছে।
-তোমরা সবাই আমার
সাথে চিট করেছো।
তোমাদের সবার নামে
আমি মানহানীর কেস
করব।
-সুযোগ পেলে করিস।যা
এখন রুমের ভিতরে যা।
.
অতঃপর বিথী দিদি
চলে গেল।ওরা সবাই
ভেবেছে বিয়েতে
আবিরের মত নেই
কিন্তু ওরা তো আর
জানে না বিয়েতে
আবিরেরই আগ্রহই
বেশি।কিন্তু কিভাবে
রুমে ঢোকা যাবে?হ্যাঁ
আইডিয়া আমিও এখন
দরজার উপর জোড়ে
ধাক্কাবো আর বলব ঐ
দরজা খোল….
.
পুলিশের মেয়ে যখন আদরের বউ