বরিশাইল্যা বউ
পর্বঃ ০৩ ও শেষ
===============
===============
বউ: তয় আর কি আমনের গায় তেলাচোরা হান দিয়া দিমু আনে?
আমি: এই প্লিজ দিও না আমি ভয় পাই |
বউ: তয় মোর শর্তে রাজি আমনে ?
আমি: কি আর করার তাই তো করতে হবে ?
বউ: এহন হপালে হপালে ঘুমাইয়া পরেন বঝঝেন |
তো আর কি ওকে জরিয়ে ধরে ঘুমালাম |
কি মেয়েরে বাবা এ দেখি বরিশালের ডেঞ্জারাস মেয়ে |
এই চিন্তা করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে পরলাম
হঠাৎ কে যানো ফজরের সময় ডাকছে চোখ খুলে দেখি বউ তো বলছে—–>
বউ: ওয়া কি আয়যান দেছে নামায পড়তে জাইবেন না ?
আমি: হায়রে এখনো সকাল হলো না আর তুমি ঘুমটা ভেঙ্গে দিলো ?
বউ: তারতারি কইররা অযূ কইররা হপালে হপালে নামায পড়তে যান |
আমি: যাচ্ছি যাচ্ছি
অতঃপর অযু করে নামায পড়ে আসলাম ঘরে দেখি বউ শুয়ে আছে বল্লাম—–>
আমি: আমার ঘুম ভাঙ্গিয়ে সে খুব ভালোই ঘুমাচ্ছে ?
বউ: ওয়া কি আমনে আইয়া পরছেন ?
আমি: হ্যা …..|
বউ: আমনের বাড়ির সুন্দার একটা কোলা আছে চলেন আমি আর আমনে হেহিনে হাটতে যাই ?
আমি: এই কোলা আবার কি ?
বউ: ওয়া কি কোলা চেনেন না আমনে শহরে থাহেন হেইয়া জানেন না ?
আমি: ওহ কোলা কি কয়লা আর আমাদের এখানে কয়লার ক্ষনি নেই তো |
বউ: ও মোর খোদা হেরে কিবাইল কইররা বুঝামু ?
আমি: ভালোভাবে না বল্লে বুঝবো কিভাবে বলো ?
বউ: কোলা ঐতে আছে ধান খেত যেইহানে লাগায় না ঐডারে কোলা কয় বঝঝেন ?
আমি: ওটাকে তো মাঠ বলে ?
বউ: হেইয়া এক ঐলে এহন তারাতারি কইররা চলেন যাইয়া হাডি গা শরির সুস্থ ভালো থাকবে আনে|
আমি: সে যে যাইহোক এখন আমি ঘুমাবো তোমার সাথে যেতে পারবো না |
বউ: কাইলগো রাইতে কিন্তু মুই তেলাচোরার বাচ্চাডারে ও পাইছি কলম ভাবতেআছি আমেনেরে উপহার দিমু ?
তখন ভয় পেয়ে বল্লাম—–>
আমি: এই কথায় যানি যেতে হবে তোমার সাথে ?
বউ: এইতো গুড চলেন তারাতারি মোর লগে |
তো আর কি করার ওর সাথে মাঠে হাটছি এই ভোর বেলা |
তো হাটছি হাটছি হঠাৎ ও আমাকে পায়ে লেং মেরে কাদায় ফালিয় দেয় আমার শরির পুরা কাদায় ভরে যায় তখন আমি বল্লাম—->
আমি:এটা কি হলো ?
তখন আমার বউ হাসছে আর বলছে—->
বউ: হেইয়া আমনে কোন দিক ফিররা হাডেন ভালো হইররা হাটতে ও জানেন না ?
আমি: এই তুমি তো আমাকে লেং মেরে ফালিয়ে দিছো ?
বউ: হেইয়া কি কইতে আছেন মেশিনে ডিস্টাব দেতে আছে ?
আমি: এখানে মেশিন আসলো কথা থেকে ?
বউ: আমনে বুঝবেন না আগে আমনের হাতটা দেন টাইন্না উডাই?
অতঃপর ও আমাকে টেনে উঠালো |
মনে হয় বাকী জীবন আর সুখে কাটাতে পারবো না কি কপাল আমার |
তো এই কাদা মাখা অবস্থায় গেলাম বাসায় তো আম্মু আমার বউকে বলছে—–>
আম্মু: কি বেপার এ তুমি কোন টুকাইকে ঘরে এনেছো বউ মা ?
তখন আম্মুর কথা শুনে বউ হাসছে তখন আমি বল্লাম—>
আমি: আম্মু তুমি আমাকে চিনতে পারছো না ?
আম্মু: গলাটা চেনা চেনা লাগছে |
তখন বউ বল্লো—->
বউ: আম্মা এ দি আমনের পলা|
তখন আম্মু আমাকে দেখে হাসছে আর বলছে—->
আম্মু: কিরে কথায় চুরি করতে গেয়েছিলি ?
আমি: চুরি মানে কি বলছো এসব ?
তখন বউ বল্লো—->
বউ: হয় হয় আম্মা আইজগো বেইন্না হালে উট্টা দেহি কেডা জানি কোলায় দৌরাইতে আছে ভাবলাম চোর টোর ঐবে হেইর ফর মুই ও তারে দরার লইগ্গা দৌরাইতে আছি যেই দরতে জামু তহনি হে পইররা গেছে হেইর পর এ দেহি মোর স্বামী ||
তখন দেখি আম্মু আরো জরে হাসছে পরে আমি বল্লাম—->
আমি: আম্মু ও সব বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যা কথা বলছে ঐ আমাকে সকাল বেলা মাঠে নিয়ে গেছে |
আম্মু: হাহাহা বাবা চুরি টুরি একটু ছেড়ে দে |
আমি: দূর তোমাদের সাথে কথাই বলবো না |
অতঃপর চলে গেলাম গসল করতে গসল করে ভালোভাবে ফ্রেস হয়ে নাস্তা করতে গেলাম দেখি আম্মু আমার বউকে খাইয়ে দিচ্ছে তখন আমি বল্লাম—->
আমি: বা বা এ দেখি মায়ের থেকে মাসির দরধ বেশি |
আম্মু: এই তুই কি বল্লি ?
আমি: না না কিছু না জীবনে তো আমাকে খাইয়ে দিলে না এখন আমার বউকে খাইয়ে দিচ্ছ ভালো তো |
বউ: আহা খাইবেন নি আন্ডাইদ্দা ভাত ?
আমি: আন্ডা আবার কি ?
বউ: পেত্তেক দিন আন্ডাইদ্দা রুডি গেলেন হেইয়া আন্ডা কি জানেন না ?
আমি: আম্মু ওকে চুপ করতে বলো……..
বউ: ওয়া কি আমনে ওবাইল হরতে আছেন কা ?
আমি: তাহলে কি সব বলতেছো এগুলা ?
বউ: মুই তো ঠিকি কইছি আমনের মায় মরে কইছে আমনে নাকি পেত্তেক দিন আন্ডাইদ্দা রুডি গেলেন ?
আমি: কেও আমাকে মেরে ফেল আর বাচতে ইচ্চা করছে না |
তখন আম্মু বল্লো——>
আম্মু: বেয়াদব ছেলে আন্ডা চিনিস না আন্ডা হচ্ছে ডিম |
আমি: তা ও ডিম বলতে পারে না কেনো ?
তখন বউ বল্লো—>
বউ: মোরা ঐডারে আন্ডা কই |
আমি: যেমন দেশ তেমন মেয়ে |
বউ: এ খবর দার মোগো দেশের নামে কিছু কইলে এক্কে বারে হান্দাইয়া দিমু কলম |
আমি: আম্মু তোমার কাছে কি পাবনা যাওয়ার টিকিট আছে ?
তখন আম্মু বল্লো—>
আম্মু: কেনো বাবা কি হয়েছে ?
আমি: তোমার বউ মা দেখো কি সব আবল তাবল বলছে |
আম্মু: ও তো ঠিকি বলছে তুই ওর সাথে এভাবে কথা বলিস কেনো?
আমি: দূর আজকে খাবোই না |
বউ শাশুরি মিলে আমাকে ধংশ করার জন্য আসছে |
অতঃপর না খেয়ে আমার রুমে চলে গেলাম কিছুক্ষন পর দেখি পেলেটে করে খাবার নিয়ে আমার বউ আসছে আর বলছে—->
বউ: দেহি হপালে হপালে মুখটা খলেন আমনেরে খাইয়াইয়া দেই |
আমি: আমি তোমার হাতে খাবো কেনো ?
বউ: তয় কি মাইর খাইবেন ?
আমি: দেখো ফাইজলামি করবা না |
বউ: মুই কি আমনের লগে তামাশা হরতে আছি ?
আমি: এখান থেকে যাবা ?তুমি না আমি যাবো ?
বউ: মুই কলম তেলাচোরা খাওয়াইয়া দিমু আনে?
আমি: আবার তেলাপোকা দূর আর ভালো লাগে না |
অতঃপর ও আমাকে জোর করে খাইয়ে দিলো ভালোই লাগলো কোনো মেয়ে এই প্রথম আমাকে খাইয়ে দিলো কিন্তু ওর ব্যবহার গুলো আমার ভালো লাগে না |
তো এরকম চলতে লাগলো….|
পরের দিন—->
আজ আমার ঠান্ডা লেগেছে গত কাল যে সকালে গসল করছিলাম তাই তো বউ এস বল্লো—->
বউ: ওয়া কি আমনের দি ঠান্ড লাগছে ?
আমি: সব তোমার জন্য গত কাল সকাল বেলা আমাকে ফালিয়ে দিছো কাদায় তার উপর সকাল বেলা গসল করে ঠান্ডা টা লেগেছে|
বউঃ কিরফিন্নে যে চুরি ডা হরতে গেলেন ?
আমিঃ দেখো ফাইজলামি করবা না তুমি আমকে নিয়ে গেছ
বউঃ অইছে অইছে আর ঢঙ হরতে হইবে না মুই আম নের লইজ্ঞা বান ডে হইররা চা লইয়াইই
আমিঃ এই বান ড কি আবার ?
বউঃ ওয়া কি আম নে বান ড চেনেন না ?
আমিঃ চিনেতে পারলে কি তোমাকে বলতাম ?
বউঃ আম নে পেলা চেনেন হেইয়া বজ্জেন ?
আমিঃ আর এ গাদা ঐটা প্লে হবে পেলা না
বউঃ মরে কি বলদ পাইছেন আয় মুই পেলা কইছি বুজ্জেন ?
আমিঃ আর এ পেলা টা কি ?
বউঃ দূর মুই বান ডে হইররা চা লইয়াইয়াই আম নে বইয়া থাহেন
অতঃ পর ও দেখি একটা বাতি তে করে চা নিয়ে আসছে তখন আমি বল্লাম—->
আমিঃ এই তুমি বাটি তে করে চা নিয়ে আসছ কেন?
বউঃ হেইয়া মরা গ্রামে বান ডে হইররা চা খাই বজ্জেন
আমিঃ তার মানে এই পেলেত কে বান ড বল?
বউঃ হয় আহন বোজতে পারছেন
আমিঃ হায়রে কি নাম একেক টার
বউঃ এহন হপালে হপালে চা ডা খাইয়া লন
তো আর কি ওর হাতে চা খেলাম আর খেইএই আমি মুখ থেকে ফালিয়ে দিলাম মানে চায়ের ভিতরে সব লবনে ভরা তখন আমি বল্লাম——>
আমি: এটা চা না অন্য কিছু আমার মুখ টা শেষ |
বউ: ওয়া কি কইতে আছেন আয় মুই দি ভালো হইররা চা বানাইয়া লইয়াইছি |
আমি: আমার মনে হয় কি জানো তুমি মনে হয় আমাকে শেষ করার জন্য আসছো ?
বউ: ও মোর খোদা ওয়া আমনে কি কইতে আছেন আমনে মোর পেরানের স্বামী আমনের মুই মারমু কা ?
আমি: তাহলে এটা কি চা বানাইছো নাকি বিষ ?
বউ: কা চাতে কি হরছে আমনেরে ?
আমি: পুরা লবনে ভরা আর একটু খেলে তো মরে যেতাম |
বউ: ওরে মোর খোদা মুই আমনের লইগ্গা কত সুন্দার কইররা চা বানাইয়া লইয়াইছি আর আমনে কইতে আছেন মুই লবন দিছি এয়া অয় কেমনে ?
আমি: এই নাও খেয়ে দেখো ?
অতঃপর ও একটু খেয়ে ও আমার মতো মুখ থেকে ফালিয়ে দিলো তখন ও বল্লো—->
বউ: কি আর হরার কন চিনি আর লবন দেখতে এক তাই ভুলে লবন দিয়া লাইছি মাফ কইররা দেন মুই এফাক ভালো হইররা বানাইয়া লইয়াইতে আছি |
আমি: এই না না থাক আর খাবো না আর এই ছি তুমি কি বলছো ফাক মানে এগুলা কি বলো ?
বউ: হেইয়া মুই এফাক কইছি ?
আমি: তার মানেটা কি ?
বউ: মানেডা ঐলে এহন হেইয়া বজজেন ?
আমি: তা এখন বল্লেই তো পারো আমি আবার কি না কি ভাবলাম |
বউ: কি ভাবতে আছেন ?
আমি: এই তুমি এখান থেকে যাও তো তোমার কথা শুনলে আমার কান বেথা করে|
বউ: কান বেথা হরলে মুই কউররার তেল লইয়ামু ?
আমি: হায়রে খোদা কেও একটু বলবেন এই কউররার তেল কি ?
বউ: ওয়া মানে রে জিগান লাগবে না ওয়া মুই কইতে আছি |
আমি: কি তেল এটা একটু বলবা ?
বউ:আমনেরা যে মাথায় তেল দেন না হেইয়া |
আমি: মাথায় তো অনেকেই তো অনেক তেল দেয় তা এটা কোনটা?
বউ: আমানেরে যে কিবাইল কইররা বুঝামু হেইয়া শইশশার তেল চেনেন ?
আমি: আরে গাধা এটা শরিশার তেল |
বউ: হয় হেইয়া মোরা কউররা তেল কই |
আমি: আরো যে কত কি বলবা কি যানি |
তো এরকম চলতে চলতে শুক্রবার এসে পরলো তো নামায পড়ে খাওয়া দাওয়া করে দিলাম দুপুরে ঘুম |
অতঃপর বিকাল বেলা কে যানো ডাকছে এটা আর কেও না আমার বউ তো আমাকে বল্লো—->
বউ: চলেন…|
আমি: কথায় আর তুমি আমাকে ডাক দিছো কেনো ?
বউ: হেইয়া আমি আর আমনে বাইরে ঘরতে যামু লন যাইয়া ঘুইররা আই |
আমি: কি তোমার সাথে আমি যাবো ঘুরতে এটা সম্ভব না |
তো এটা বলার পর দেখি আমার বউ আমার আম্মুকে ডাকছে—–>
বউ: ও আম্মা এম্মে আন ?
অতঃপর আমার আম্মু হাজির আর বলছে—->
আম্মু: কি হয়েছে বউ মা ?
বউ: দেহেন না আমনের পলারে মুই কইছি যে আমি আর হে মিল্লা বাইরে যাইয়া ঘরতে যাই কয় যাইবে না |
আম্মুঃ কিরে তুই বলে ওর সাথে যাবি না ?
আমিঃ আমি পারবো না ওর সাথে ঘুরতে এর সাথে গেলে আমি পাগল হয়ে যাবো ।
আম্মুঃ দেখ বাবা মেয়েটা এখানে নতুন বেশি একটা কিছু চিনে ও না তুই যদি ওর সাথে এরকম করিস তাহলে এটা কেমন দেখায় বল ?
আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে শুধু তোমার জন্য বের হলাম ।
বউঃ আহা মোরা ঘরতে যামু যে খুশি লাগতে আছে ।
আমিঃ হইছে চুপ করো যাও তারাতারি রেডি হও ।
অতঃপর আজ ওর সাথে ঘুরলাম অনেক জাগায় গেলাম তো পরে রাতে বাসায় গেলাম অতঃপর এরকম চলতো আমাদের দিন কিন্তু ওকে খুব বিরক্তি মনে হতো কারন ওর মতো করে চলতে হতো যখন যে আবদার করতো তখন সেটা করতে হতো তার উপর যে ভাষায় কথা বলে এটা তো আরো বিরক্তি মনে হতো যাইহোক আজ অফিস থেকে বাসায় ফিরলাম খুব ক্লান্ত অফিসে আজ কাজের চাপটা একটু বেশি ছিলো তাই মাথাটা গরম ।
অতঃপর রুম রেস্ট নিচ্ছে কথা থেকে যে আমার বউটা আসলো তো আমাকে বল্লো—->
বউঃ মুই না আমনেরে কিছু কইত চাই ।
একটু অবাক হলাম কি না বলবে কি যানি তো আমি ওকে বল্লাম—->
আমিঃ দেখো আমি খুব ক্লান্ত যা বলার পরে বলো কেমন ?
বউঃ না মুই এহনি কইত চাই ।
আমিঃ কি আর করার আচ্ছা বলো ।
বউঃ এম্মে আন কানে কানে কইতে আছি ?
আমিঃ কানে কানে বলা লাগবে কেনো এখানে বলো ?
বউঃ না মোর শরম হরে মুই কানে কানে কমু ।
তো আর কি করার কানে কানে ও আমাকে বলছে—>
বউঃ মোর গুরাগারা লাগবে মুই গুরাগারার মা ঐতে চাই ।
তখন আমি ওকে বল্লাম—->
আমিঃ এই কি বলছো গুরাগারা কি ?
বউঃ আরে গুরাগারা চেনেন আমনে যহন ছোড ছেলেন তহন গুরাগারা ছেলেন ।
আমিঃ মানে ?
বউঃ এত কিছু জাইন না মোর পোলাপাইন চাই মানে মুই মা হইতে চাই …।
আমিঃ কি এটা কখনো সম্ভব না তাছারা এখনো এক বছর হলো না আর এইসব কথা বাদ দাও । আমি এখন বাবা হতে চাই না ।
বউঃ না মুই মা ঐতে চাই এত কিছু জানি না ।
তো এরকম ও আমার সাথে বারাবারি করতে লাগলো তখন আমি রাগের মাথায় ওকে থাপ্পর দেই ।
আপনারাই বলুন এত কি সহ্য করা যায় ?
তখন ওকে বল্লাম—>
আমিঃ অনেক হইছে অনেক বারাবারি করছো প্রতিদিন এরকম পাগলামি করো আর ভালো লাগে না ভাবছি তোমাকে ডিবর্স দিবো আমি সহ্য করতে পারছি না ।
তো আর কি ও আমার কথা গুলো কান্না করতে করতে চলে গেলো ।
দূর থাপ্পর টা মারা উচিত হয় নি রাগের মাথায় যে কি করলাম ।
তো সেদিন রাতে ঘুমিয়ে পড়লাম সকালে দেখি আমার পাশে বউ নেই প্রতিদিন তো আমার সাথেই ঘুমাতো কি যানি কি হলো কাল মনে হয় রাগ করেছে তো সকালে আম্মু বল্লো—>
আম্মুঃ কাজটা কিন্তু ঠিক করলি না ?
আমিঃ দেখো আম্মু ও অনেক বারা বারি করে তাই রাগের মাথায় যে কি করলাম জানি না ।
আম্মুঃ তাই বলে ঐভাবে থাপ্পর টা মারবি আর জানিস ও কে ?
একটু অবাক হয়ে গেলাম পরে বল্লাম—->
আমিঃ কে মানে ?
আম্মুঃ ও আমার বোনের মেয়ে রাইসা ও এবার ইন্টার পড়া শেষ তাই ভাবলাম তোর সাথে বিয়ে টা দেই …।
আমিঃ কি বলছো এসব কিছু বুঝতে পারছি না ও তো আমাকে বল্লো ওর নাম মোমেনা ও নাকি ক্লাস ভাইব পর্যন্ত পরেছে তাছারা ওতো বরিশালের মেয়ে ।
আম্মুঃ এগুলো সব মিথ্যে ওকেই আমি বলেছি তোর সাথে বানিয়ে বানিয়ে বলতে যাতে তোকে টাইট দিতে পারে আর ও বরিশালের ভাষা পারে তাই ওকে বলেছি এই ভাষায় কথা বলতে কিন্তু শেষ পর্যন্ত তুই ওর সাথে এরকম করতে পারলি ।
আমিঃ দেখো আম্মু যা করেছি রাগের মাথায় তাছারা তোমরা আমাকে এই সত্যি টা বলো নি কেনো ?
আম্মুঃ বল্লে কি তুই কি ফাজলামি কম করতি তাই এই কাহিনিটা করলাম কিন্তু কি আর করার মেয়েটাকে কি করলি ?
আমিঃ সরি আম্মু আমাকে ক্ষমা করে দাও আমি বুঝতে পারি নি ।
আম্মুঃ আমার কাছে ক্ষমা চেয়ে কি লাভ চেতে হলে বউ এর কাছে যা ।
এই মূহর্তে দেখি বউ হাজির আর বলছে—->
বউঃ আম্মু রান্নাটা করা শেষ আর কি কি রান্না করবো ?
আমি তো সেখানে থ এত সুন্দর করে কথা বলছে এখন আর বরিশালের ভাষায় কথা বলছে না তখন আম্মু বল্লো—->
আম্মুঃ হ্যা মা যাও বাকিটা রান্না করে ফেলো ।
বউঃ ঠিক আছে আম্মু ।
অতঃপর ও চলে গেলো আর আমি ওর দিকে তাকিয়ে থাকি যে মেয়েটা এতদিন কি ব্যবহার করতো আজ সে পুরা চেঞ্জ ।
তো আমি রান্না ঘরে গেলাম দেখি ও রান্না করছে তখন আমি বল্লাম—->
আমিঃ দেখো আমি গতকাল রাগের মাথায় ঐসব কথা গুলো বলেছি তার উপর আমি খুব ক্লান্ত ছিলাম তাই তোমার কথা গুলো শুনার পর আমি থাপ্পর টা মারি তাই প্লিজ ক্ষমা করে দাও আমি বুঝতে পারি নি ।
তো আর কি ও আমার কোনো কথাই শুনলো না কিছু বল্লো ও না একবার আমার দিকে তাকালো ও না ।
অতঃপর এরকম ওকে সরি বলতাম কিন্তু ও শুনতো না ও ওর মতো থাকতো আস্তে আস্তে করে ওকে খুব অনুভব করতে থাকি কারন খুব মিস করি ওর দুষ্টামি গুলো তার উপর অনেক দিন ধরে ও আমার সাথে ঘুমায় না আলাদা রুম ছিলো সেখানে থাকতো অতঃপর ওকে আমি এই মিস করাটা থেকে আস্তে আস্তে ওকে ভালোবেসে ফেলি একটা পর্যায় ওর প্রতি খুব দুর্বল হয়ে যাই ।
যাইহোক আজ অফিস থেকে বাসায় ফিরলাম দেখলাম আজ শেষ বারের মতো যদি কিছু বলে কারন ওকে ছাড়া এখন আমার এক মুর্হতো ও ভালো লাগে না তাই ওকে ঘরে খুজলাম কথাও পেলাম না পরে আম্মু বল্লো ও নাকি ছাদে আছে তো আমি ও ছাদে গেলাম দেখি খারিয়ে আছে তখন ওর কাছে গিয়ে বল্লাম—->
আমিঃ দেখো রাইসা আজ আমার একটা ভুলের কারনে এতটা ভুগতে হচ্ছে তোমাকে অনেক বার সরি বলার পর ও তুমি শুনলা কিন্তু তুমি কি জানো এতদিন ধরে তোমাকে কতটা মিস করছি তোমার ঐ দুষ্টামি গুলো এখন আর পাই না তুমি কাছে থেকে ও মনে হচ্ছে কাছে নেই তাই আজ শেষ বার একটা কথা বলতে চাই তোমাকে খুব ভালোবেসে ফেলেছি তখন হয়তো বুঝতে পারি নি কিন্তু এখন খুব ভালোবেসে ফেলেছি।
অতঃপর ও আমার কথা শুনে কান্না করে দিলো আর কান্না করে বলছে—->
বউঃ কেনো আপনি না আমাকে ডিবর্স দিবেন আপনার তো আমাকে সহ্য হয় না তাই না ।
যাক অনেক দিন পর ওর মুখে কথা শুনলাম যাইহোক পরে আমি বল্লাম—>
আমিঃ সরি বল্লাম তো আমি বুঝতে পারি নি বিশ্বাস করো তোমাকে খুব ভালো বেসে ফেলেছি ।
বউঃ যান আমার থেকে ভালো মেয়ে পাবেন গিয়ে বিয়ে করেন তাহলে আর আমার মতো কেও বিরক্তি করবে না ।
তখন একটু মজা করে বল্লাম—->
আমিঃ কি আর করার বলো কপালে তো বরিশাইল্লা বউ জুটলো না দেখি কোনো নোয়াখাইল্লা বউ পাই কিনা ।
এটা বলে চলে যেতে লাগলাম তখন ও আমার হাত ধরে ফেল্লো আর আমাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো দেখি খুব কান্না করছে আর বলছে—->
বউঃ জানেন আমি আপনাকে দেখার পর থেকেই ভালোবেসে ফেলি আপনাকে বিরক্তি করতে আমার খুব ভালো লাগতো এতদিন আমার আপনাকে ছাড়া থাকতে কতটা কষ্ট হয়েছে কিন্তু আপনি বলুন আমার কি ছেলে মেয়ের ইচ্ছা হয় না ইচ্ছা কি হয় না মা হতে তাই সিদিন আপনাকে বলি আর আপনি আমাকে থাপ্পর দিলেন তাই আমি খুব কষ্ট পাই ।
আমিঃ আহারে আমার বউটা কত কষ্ট পাইছে এইযে দেখো কানে ধরছি আর কখনো তোমার সাথে এরকম করবো না ।
বউঃ হইছে আর ঢং করতে হবে না ।
আমিঃ আহা মোর বউডারে কত দিন দইররা ভালোবাসতে পারি আও একখান কপালে চুম্মা দেই …।
বউঃ এই আপনি বরিশালের ভাষা শিখলেন কিভাবে ?
আমিঃ আমার মিষ্টি বউটার কাছ থেকে তখন একটু একটু শিখলাম …।
বউঃ এইর ফর যদি আমনে মোর লগে ওবাইল হরেন মুই কিন্তু এইফির আমনেরে থুইয়া চইল্লাম যামু কলম ।
আমিঃ মুই আর তোমারে জীবনে ও ছারমু ওয়া মুই কল্পনা ও হরতে পারি না মোর বরিশাইল্লা বউডা ছাড়া মুই বাচতে পারমু না কলম ।
বউঃ হাহাহা ……।
অতঃপর আমাদের ভালোবাসাটা পরিপূন্য হয়ে গেলো শুরু হলো আমাদের নতুন জীবন।।
[তো বন্ধুরা গল্পটা কেমন লাগলো জানি অনেকের পড়তে কষ্ট হয়েছে কারন মোগে যে ভাষা হেইয়া পড়তে পড়তে দাত খুইল্লা যাইবে আনে যাইহোক গল্পটা ভালো লেগে থাকলে মিষ্টি হইররা এউগ্গা লাইক আর কমেন্ট কইররা দেবেন ]