সবেমাত্র ঢাকা ভার্সিটিতে ভর্তি হলাম।ভার্সিটির হলে
জায়গা না পাওয়ায় আমার আবাসস্থল হলো ভার্সিটির
পাশেই একটা ব্যাচেলর মেসে।মেসের নাম
হোয়াইট হাউস।ভিতরের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা
দেখে মনে হইলো ইহা ডোনাল্ড ট্রাম্পের
বাস ভবনের থেকে কোন অংশেই কম নয়।ফ্রি
ওয়াইফাই যদিও গ্রাহক বেশি কিন্তু আমার কাজ কর্ম
ভাল ভাবে চলে যাবে।প্রথম দিন মেসে উঠেই
সব কিছু গুছিয়ে ঘুম দিলাম।এক ঘুমেই দিন রাত পার
করে পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে
নাস্তা শেষ করে ভার্সিটির জন্য রওনা দিলাম।সবার
সাথে পরিচিত হয়ে আমার দিনটা ভালই গেল।কিন্তু
বাধ সাধলো একটা পুচকে মেয়ে। বয়স খুব
বেশি হলে ১৭হবে। কলেজ ড্রেস পরে
ভার্সিটিতে কি করে এই প্রশ্ন বন্ধু নাইমরে
করাতেই কয় হালা চুপ কর আমাদের ফেকাল্টির
ম্যাডামের মেয়ে।আমাদের মেসের উলটা
দিকের বাসাটাই ওদের, ভুলেও পা বাড়াস না।ম্যাডাম
জানলে টিসি দিয়ে উগান্ডায় পাঠাবে।মনে মনে
নাইমরে বললাম হালা বলদ তোরে জিজ্ঞাস করলাম
কে?আর তুই বাড়ির ঠিকানা পর্যন্ত বলে দিলি।
মেসে ফিরেই আমার কাজ হলো ওই বাড়ির জানালার
দিকে তাকিয়ে থাকা।কিন্তু যেই কয়বার মাইয়ার
চোখে চোখ পড়ছে এমন ভাব ধরছে যেন
উনি একটা ইয়ে।বহুত কস্ট করে মেয়ের নাম
শুনলাম।নাম মুমু।ওহ পরিচয়ই তো দেয়া হলো না
আমি পরাগ,এইবার অনার্স ফার্স্ট ইয়ার।খুব করে ট্রাই
করছি যাতে মুমুর সাথে কথা বলার জন্য।কিন্তু পাত্তাই
দেয় না।৭দিন টানা নির্লজ্জের মতো চেস্টার পর
অষ্টম দিনে বালিকা একটা মুচকি হাসি দিল।আমি এতেই
কাত।তারপর থেকে কথা বলা শুরু হলো মনে
মনে বললাম উহারেই চাই।কিন্তু সমস্যা হলো আমি
আমার ম্যাডামের মেয়ের সাথে লাইন মারতে
চাচ্ছি এটা যদি ম্যাডাম জেনে যায় তাহলে কি হবে
সেটা আল্লাহই ভালো জানে।রুম মেট ও
পরানের বন্ধু নাইমরে বলতেই ফইন্নি কয়
প্রোপজ করে ফেল।কিন্তু কথা হচ্ছে তারে
কেমনে কই দেখা করতে।তবু বলেই ফেললাম
দেখা করতে চাই আলাদা করে।বালিকাও রাজি আর তা
দেখে মনডা কয় একবার লুঙ্গী ড্যান্স মারি কিন্তু
সেটা বাদ দিয়ে নাইমরে বললাম কি দেয়া যায়?ফইন্নি
কয় আগে প্রোপোজ কর রাজি হলে দিবি না
হলে দিবি না।খালি টাকা নস্টের মানে হয় না।নাইমরে
গলা জড়িয়ে ধরে বললাম তুই তো আমার বন্ধু নস
আমার মেলায় হারিয়ে যাওয়া ছোট ভাই।শুনে নাইম
সেই লেভেলের খুশি।তো নির্দিষ্ট দিনে
নির্দিষ্ট স্থানে গেলাম তার সাথে দেখা করতে।
যাওয়ার আগেই কয়েকটা গোলাপ কিনে নিয়ে
গেলাম । অতঃপর তারে করলাম প্রোপোজ।
বালিকা যা উত্তর দিল তা শুনে আমার মাথায় রক্ত
উঠে গেল।বালিকা কয় সে আমারে নিজের
ভাইয়ের মতো ভাবে।ভাবলুম এইভাবে ছ্যাকা
খেলুম।তাই কিচ্ছু হয়নি এমনভাব করে বললাম
নিজের ভাই ভেবে তোমার বাপরে কইয়ো তার
অর্ধেক সম্পত্তি যেন আমার নামে লিখে দেয়।
বালিকা শুনেই আবুল হইছে মনে হয়।তারপর চলে
আসলাম।মেসে ফিরে ঘুম দিলাম তাতেই কস্ট
ভুলে গেলাম।এরপর তারসাথে দেখা হইলে এমন
ভাব নিতাম যেন চিনিই না।মুমুর মধ্যেও কেমন যানি
পরিবর্তন লাগছে।ঘটনা র ৭দিন পর নাইমের সাথে
মুমুদের বাসার সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম তখনি কে
যেন ডাকল নাম ধরে।পিছনে ফিরেই দেখি মুমু।
ফের হাটা শুরু করলাম।কিন্তু কে যেনো কলার
ধরে টানতে শুরু করলো।পিছনে তাকাতেই ঠাস
করে একটা থাপ্পড় খেলুম।তারপর মুমু বল্ল একবার
না করছি তাতেই ভুলে গেছিস,খুব সাধু সাজা হচ্ছে
তাই না।বুঝিস না ভালবেসে ফেলছি তারপর শক্ত
করে জড়িয়ে ধরলো।কতক্ষণ ছিলাম জানি না।নাইম
বল্ল পরাগ ম্যাডাম আসতেছে।মুমু বাসার ভেতর
গেল তারপর দৌড় লাগালাম।ভাবছি থাপ্পড় থেকে ভাল
কিছু হলে থাপ্পড়ইই ভাল।