পরীক্ষার হলে ঢুকে দেখলাম সুন্দরী
একটা মেয়ের সাথে সীট পরেছে। দেখতে
এক্কেবারে ক্যাটরিনা কাইফের মতন।
জামাকাপড় ও সুগন্ধির ঘ্রাণ বলে
দিচ্ছে বড়লোকের মেয়ে। মনে মনে
ভাবলাম একটু খাতির জমানো যাক।
পরীক্ষায় টুকটাক সমস্যা হতেই পারে।
মেয়েটার দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলাম
আপনি কোন কলেজ থেকে এসেছেন।
মেয়েটা কোনো উত্তর দিলো না।
ভাবলাম শুনতে পায়নি তাই আবার একই
প্রশ্ন করলাম। কিন্তু এবার বুঝলাম,
মেয়েটা শুনেই না শুনবার ভান করছে।
সুন্দরী মেয়েরা যেমন অহংকারী হয়
আরকি। সুন্দর চেহারা ও দামি
কাপড়চোপড় কিনার যোগ্যতা কোনোটাই
আমার নাই। মনে মনে নিজের উপর
কিছুটা রাগ হলো। কেন যে আগ বাড়িয়ে
কথা বলতে গেলাম।
উচ্চ মাধ্যমিকে সাইন্সের ছাত্র
ছিলাম। খারাপ ছাত্র ছিলাম না। বিশেষ
করে সাইন্সের বিষয় গুলোতে।জেনারেল
সাবজেক্ট গুলোর পরীক্ষা চলাকালীন
মেয়াটা কখনো আমার সাথে কথা
বলেনি। আমিও আর নিজেকে ওর কাছে
ছোট করতে যাইনি।
পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষা দিন লক্ষ্য
করলাম প্রশ্ন বেশ কঠিন। পরীক্ষার
হলে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে একপ্রকার
হাহাকার চলছে। নিজের প্রশ্ন দেখে
বুঝলাম প্রায় প্রশ্ন কমন এসেছে।
খাতার দিকে মনোযোগ দিয়ে লিখা শুরু
করলাম। এমন সময় পাশে বসা সুন্দরী
ক্যাটরিনা কাইফ বলে উঠলেন এইযে
ভাই “এক নাম্বার প্রশ্নটা কি আপনার
কমন এসেছে? “।
এইবার এসেছে আমার সুযোগ। শুনেও না
শুনবার ভান করে রইলাম। সুন্দরী
আবার আমাকে একই প্রশ্ন করলেন।
আমিও আবার না শুনবার ভান ধরে
নিজের উত্তর পত্রতে লিখে
যাচ্ছিলাম।
আশেপাশে ছেলেমেয়েদের সাথে সুন্দরীর
ফিসফিসানি ও কলম কামড়ানোর ধরণ
দেখে বুঝে গেলাম ক্যাটরিনা আপুর
কমন আসেনি। মনে মনে আমি হানি সিং
ও দিপিকা পাড়ুকোনের সাথে “লুঙ্গী
ড্যান্স” দিচ্ছি। ভাবছি উচিৎ শিক্ষা
হয়েছে ওর। আজ কোথায় যাবে তোমার
অহংকার।
অর্ধেক প্রশ্ন লিখা শেষ। এমন সময়
সুন্দরী দেখি কলম দিয়ে আমাকে গুঁতা
মারে। এমনেই আমার ছোটবেলা থেকে
প্রচণ্ড কাতুকুতু। ক্যাটরিনার প্রচণ্ড কাতুকুতু। ক্যাটরিনার কলমের
গুঁতায় এক্কেবারে লাফিয়ে উঠলাম।
আশেপাশে ছেলেমেয়ে আমার বাঁদরের
মতন লাফ দেখে হেসে একাকার। মুখে
প্রচণ্ড বিরক্তি এনে ক্যাটরিনা
আপুকে জিজ্ঞাস করলাম কি হয়েছে।
ক্যাটরিনা আপু কাঁদোকাঁদো হয়ে উত্তর
দিলো “উনার নাকি কোনো প্রশ্ন কমন
নাই”। আমি যদি তাকে সাহায্য না করি
তাহলে নিশ্চিত ফেল। এইবার আমার
মনের মধ্যে বেজে উঠলো গুরু মাইকেল
জ্যাকসনের “বিট ইট” গানটা। কিন্তু
গুরুজন বলেছেন মেয়েদের প্রতি গুরুজন বলেছেন মেয়েদের প্রতি দয়া
দেখানো আর নিজের পায়ে নিজে কুড়াল
মারার মধ্যে কোনো তফাৎ নেই।
আমি ক্যাটরিনা আপুকে সাহায্য করার
জন্য রাজি হলাম।ক্যাটরিনা আপু শুনে
তো মহাখুশি। কিন্তু উনাকে একটা শর্ত
দিলাম। প্রত্যেকটা নাম্বার দেখানোর
জন্য উনাকে দশ টাকা করে দিতে হবে।
অর্থাৎ দশ নাম্বার মার্কেঅর্থাৎ দশ নাম্বার মার্কের জন্য
উনাকে দিতে হবে একশো টাকা।
মেয়ে আমার কথা শুনে পুরাই টাস্কি। এই
ছেলে বলে কি! আমি বলে দিলাম, আপনি
যদি রাজি থাকেন তাহলে জানাবেন।
ক্যাটরিনা আপু অন্য কোনো উপায় না
পেয়ে আমার হাতে একশো টাকা তুলে
দিলেন। আমিও নির্লজ্জ ভাবে সেই
টাকা হাত পেতে নিলাম। মাসে মাসে যদি
হাজার টাকা প্রাইভেট টিউটর কে দিতে
পারে।তাহলে এক পরীক্ষায় কিছু টাকা
খরচ করলে কোনো কিচ্ছু হবেনা এইসব
ক্যাটরিনা আপুদের।
এইভাবে সম্পূর্ণ পরীক্ষায় ক্যাটরিনা
আপুকে উত্তরপত্র দেখিয়ে যাচ্ছি আর
আস্তে আস্তে নিজের পকেট ভারি
করছি। মনে মনে যে কি পৈশাচিক
আনন্দ পাচ্ছিলাম।
পরীক্ষা শেষ হলে উত্তরপত্র জমা
দিয়ে বাইরে এসে বন্ধুদের সাথে কথা
বলছি। এমন সময় দেখি ক্যাটরিনা
আপুও বের হয়েছে। এগিয়ে গেলাম
ক্যাটরিনা আপুর দিকে। পকেট থেকে
টাকা গুলো বের করে উনার হাতে দিয়ে
বললাম। পরীক্ষার হলে পাশের সীটে
বসা কোনো ছেলে কথা বলতে চাওয়া
মানে খারাপ কিছু না। সে দেখতে খারাপ
হতে পারে তার কাপড়চোপড় দেখতে
সুন্দর না হতে পারে। কিন্তু “প্লিজ,
ডোন্ট জাজ এ বুক বাই ইটস কাভার!”
ডোন্ট জাজ এ বুক বাই ইটস কাভার
If үou ѡould loke tⲟ take a gooԁ deal from this paragraph tһеn yoս haѵe to apply these methods to yߋur wοn webpage.